প্রকাশিত: ১০:১২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪২তম জন্মবার্ষিকী আজ। অবিসংবাদিত এই মহান নেতা ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়াপল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাজি শারাফত আলী ও বেগম শারাফত আলীর পরিবারের চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। শৈশবে তার ডাক নাম ছিল ‘চেগা মিয়া।’ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর পরলোক গমন করেন।
উপমহাদেশের আজাদী আন্দোলন, পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল প্রতিষ্ঠা, ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানী শাসকদের পতন নিশ্চিত করা, ৫৭র কাগমারী সম্মেলনে মাধ্যমে বাঙ্গালীকে স্বাধীনতা স্বপ্নে উজ্জীবিত করা, ৬৯’র গণআন্দোলন, ৭০-এ স্বাধীনতার ঘোষণা, ৭১এর মহান মুক্তিসংগ্রামের প্রবাসী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও আফ্রো-এশিয়া-লাতিন আমেরিকার নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের মহান এই নেতা গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষদের রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।
তার পিতার নাম হাজী শরাফত আলী খাঁ ও মাতার নাম মজিরন বিবি।
মওলানা ভাসানী ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন। এখান থেকে তার নাম রাখা হয় ‘ভাসানীর মাওলানা’। এরপর থেকেই তার নামের শেষে ভাসানী শব্দ যুক্ত হয়।
রাজনীতির পাশাপাশি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িত ছিলেন। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মহিপুর হক্কুল এবাদ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন, যার অধীনে একটি মেডিকেল, টেকনিক্যাল স্কুল ও হাজি মুহসিন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীত সময়ে এগুলো জাতীয়করণ করা হয়। এ ছাড়া আসামে ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কারিগরি শিক্ষা কলেজ ও শিশুকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন সন্তোষে। এ ছাড়াও তিনি কাগমারিতে মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ, সন্তোষে ‘সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা কিনা ‘মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে।
ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তালিকায় তিনি অষ্টম হন।
সারাদিন. ১২ ডিসেম্বর